মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী সংবাদ দাতা /
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পাড় ডাকুয়া ইউনিয়নে পশ্চিম পাড় ডাকুয়ায় জসিম মীর ও তার ছেলে মিরাজ মীরের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়ে রুহুল আমিন মীর (৪৫) নামের এক ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা ও একজনকে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।নিহত রুহুল আমিন (৪৫), পশ্চিম পাড় ডাকুয়া গ্রামের মৃত খালেক মীরের ছেলে ও হত্যাকারী জসিম মীর (৪৫), একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত চান্দু মীরের ছেলে অন্যজন হত্যাকারী মিরাজ মীর (২৭), জসিম মীরের ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম এক সক্রিয় সদস্য।জানাগেছে উভয় পরস্পরের আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে চাচা ভাতিজা।
শুক্রবার( ২৫’জুন-২০২১ ইং) তারিখ আনুমানিক সকাল ১১.৩০ মিনিটের সময় ডাকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড় ডাকুয়া ব্রীজ বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এবিষয়ে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম সরাসরি জসিম মীর ও তার ছেলে মিরাজ মীর কিশোর গ্যাং নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মিডিয়াকে বলেন, ভাই বোনের মধ্যে জমি জমার বিরোধের জের ধরে গত সপ্তাহে মারামারি হয় এসময় তার স্বামী নিহত রুহুল আমিন মীর উভয়কে থামানোর চেষ্টা করে।স্থানীয় মিমাংসা জন্য শুক্রবার বসাবসি হলে তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা না হওয়ায় পুর্বের শত্রুতা থাকায় জসিম মীর ও তার ছেলে মিরাজ মীর বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন এনে ব্রীজ বাজারে রুহুল আমিনের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ঢেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য ১৫-২০ জন মিলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে ।এসময় মাইন উদ্দিন (২৬) কে পিটিয়ে আহত করা হয়।পরে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে গলাচিপা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।আহতর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় গলাচিপা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হসপিটালে রেফার করেন।গলাচিপা ফেরীর ত্রুটির কারনে বাউফল ঘুরে এম্বুলেন্সে বরিশাল নেয়ার পথে লেবুখালী ফেরীঘাটে আহত রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়।পড়ে তাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত বলে ঘোষনা করেন।পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন।এবং আহত মাইন উদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।